I LOVE YOU
আমি আবির। বয়স ১৯ বছর ৮ মাস ১৭ দিন। এই বয়সটাতে সব ছেলেরাই একটু পাকা টাইপের হয়। আমিও কম না। কিছুদিন আগেই বাবার হাতে পায়ে ধরে একটা মোটরসাইকেল কিনেছি। ভেবেছিলাম মেয়েদের সামনে দিয়ে মটরসাইকেলটা স্টাইলিশভাবে চালাবো। আমাকে দেখে মেয়েরা ফিদা হয়ে যাবে। প্রেমের প্রস্তাব দিবে। চিঠি লেখবে। আরো কত কি।
কিন্তু সেদিন একটু বেশিই ভেবে ফেলেছিলাম। যা ভেবেছিলাম, তার কিছুই হল না। মেয়েরা তাকিয়ে দেখবে তো দুড়ের কথা। আগে যেই মেয়েদের কাছে ভদ্র ছেলে বলে পরিচিত ছিলাম। তারাও এখন বখাটে ছেলে বলে ইগনোর করে। কি আর করার। আমি আসলেই একজন ভদ্র ছেলে। ভেবেছি মেয়েদের সামনে গিয়ে আর কোনদিনও অমন করবো না।
কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু মেয়েদের সামনে ভাব নিয়ে হেলেদুলে মটরসাইকেল চালাতে গিয়ে মটরসাইকেল সহ ধপাস করে পরে গেলা না! বেচারার চামড়া এক্কেবারে উঠে গিয়েছিলো। ৩ জন মেয়ে তো হেঁসে অস্থির। একটা মেয়ে বলেছিল, ভাইয়া! মোটরসাইকেল চালানো শিখে তারপর চালাইতে আইসেন।
কলেজের একটা মেয়েকে আমার পছন্দ হয়েছে। নাম নয়না। ফর্সা চেহাড়া। সবুজ রঙের বোরখা পড়ে কলেজে আসে। দেখতে একটা বড়সর টিয়াপাখির মতো লাগে ওকে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, নয়না আমার দিকে একটি বারের জন্য তাকিয়েও দেখে না। আবির নামের ছেলেটা যে তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার চেষ্টা করে, সেটা সে হয়তো জানেই না।
রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসার ফিরেছি। শরিরটা ভালো যাচ্ছে না। কোনমতে খাপুসখুপস করে খেয়েদেয়ে বিছানায় শুয়ে দিলাম একটা ঘুম। মুশারিটাও আটকানো হল না। কখন ঘুমিয়ে গেছি তাই জানি না।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা করে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। মটরসাইকেলটার যেন কি হয়েছে। ঠিকমত স্টার্ট নিচ্ছে না। বাধ্য হয়েই আজকে বাসে যেতে হবে।
উঠেছি লোকাল বাসে। তবুও বাসে যেন আজকে ভিড়টা একটু কম। কেউ দাঁড়িয়ে নেই। একটা সিট পেলাম। পাশেই একটা মেয়ে বসেছে। তাছাড়া আর কোথাও সিট নেই। বাধ্য হয়েই মেয়েটার পাশেই বসলাম। মেয়েটাও কোন ধরনের রিয়্যাক্ট করল না। চুপচাপ বসে রইল।
২ মিনিট যাওয়ার পর হটাৎ মেয়েটা আমার দিকে তাকাল। আমিও বুঝতে পেরে মেয়েটার দিকে তাকালাম। আমি দেখলাম মেয়েটা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তো লজ্জায় শেষ। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আবার, চোখটা সরাতেও পারছি না। আরো তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে।
এমন সময় মেয়েটা আমাকে অবাক করে দিয়ে আমাকে বলল, I love you.
আমি তো হা করে রইলাম। আমি কি ঠিক শুনলাম? নাকি হ্যালুসিনেসন? আমি কিছুক্ষন মেয়েটার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে রইলাম। মেয়েটা আমাকে দেখে হাঁসছে। এই মূহুর্তের জন্য আমি সেই ঘটনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আবার মেয়েটা একটু পরে বলল, "কি হলো? আমাকে পছন্দ হয় নি?" আমি কিছুই বলতে পারলাম না। মেয়েটা আবার বলল, যদি আমাকে I love you না বল তাহলে আমি তোমাকে চিমটি দিবো।
আমি ভাবছি, মেয়েটা বলে কি এসব? আমি I love you না বললে নাকি সে আমাকে চিমটি দিবে। চিমটি দিলে দিক। তবুও আমি I love you বলব না। এসব মেয়েদের আমি ভালোমতনই চিনি। বখাটে টাইপের এরা।
এমন সময় সত্যি সত্যি মেয়েটা আমার ডান হাতে জোরে একটা চিমটি দিল। পাগল নাকি সে? আমি আউচ করে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। বাসের সবাই আমার দিকে তাকাল। এমন সময় আরেকটা মেয়ে সিট থেকে উঠে এসে আমার কাছে আসল। তারপর আমার পাশে বসা মেয়েটাকে ধমকিয়ে বলতে লাগল, আপনার সাহস তো কম না। আপনি আমার বয়ফ্রেন্ডের গায়ে চিমটি দেন? আপনার ওই হাতটা কিন্তু কেঁটে ফেলব।
পাশে বসা মেয়েটা বলল, কিসব ফালতু কথা বলছেন? এই ছেলেটা আপনার বয়ফ্রেন্ড হতে যাবে কেন? এটা আমার বয়ফ্রেন্ড।
- খবদার বলছি। আরেকবার যদি ওকে বয়ফ্রেন্ড ডাকিস। তোর মুখ আমি ছিড়ে ফেলব।
- এত্তো বড় সাহস তোর? তুই আমার মুখ ছিড়বি? কে কার মুখ ছিড়ে এইবার দেখা যাবে।
এই বলে আমার পাশে বসা মেয়েটা সিট থেকে উঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার চুলের মধ্যে ধরে দিল এক টান। দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটাও কম না। সেও আমার পাশে বসা মেয়ের চুলের মধ্যে ধরে টানাটানি করা আরাম্ব করল। বাসের মধ্যে ধস্তাধস্তির মতো একটা অবস্থা। দুইজনেই একে অপরের চুল ছেড়ার চেষ্টা করছে। কয়েকটা চুলের টুকড়া আমার মুখের মধ্যে এসে লাগল। আমি হাত দিয়ে সরিয়ে দিলাম।
১ম জন বলল, ওইটা আমার বয়ফ্রেন্ড। তুই যদি ওর দিকে তাকাস। তোর চোখ আমি তুলে ফেলব।
২য় জন বলল, কত্তো বড় সাহস। আমার নাকি চোখ তুলবে। আমার বয়ফ্রেন্ডকে আমি যা ইচ্ছা করি, তা তোর কি?
- তোর বয়ফ্রেন্ড মানে? কে তোর বয়ফ্রেন্ড?
- একটু আগে যাকে চিমটি দিলি। সেটাই আমার বয়ফ্রেন্ড।
- বয়ফ্রেন্ড তর গলা দিয়া ঢুকাই দিমু।
- বয়ফ্রেন্ড তর *** দিয়া ঢুকামু সালা। নাম বাস থিকা।
- এইটা তর বাপের বাস? যে আমারে বাস থিকা নামতে কস। আমি নামলে আমার বয়ফ্রেন্ড সহ নামবো।
দুইটা মেয়ের চুলাচুলিতে আমার বাসের মধ্যে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। অগত্যা ড্রাইভারকে বলে বাসটা থামিয়ে সেখানেই নেমে গেলাম। এখান থেকে কলেজ বেশি দূরে না। রিকসা দিয়ে যেতে ২০ টাকার মতো ভাড়া লাগবে। কিন্তু কলেজে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এদিকে রিকসাও পাওয়া যাচ্ছে না। সবগুলাতে মানুষ ভড়া।
১০ মিনিট পরে একটা রিকসা পেলাম। সেটা খালি না। একটা মেয়ে উঠেছে। আমাদের কলেজেই পড়ে। আমার জুনিয়র। বাধ্য হয়েই সেই রিকসাটাতেই উঠে পড়লাম। শুনেছি মেয়েটার নাকি একটা বয়ফ্রেন্ড আছে। সুতরাং আমাকে আর জ্বালাতন করবে না।
দুই মিনিট পর এই মেয়েটাও আমার দিকে তাকিয়ে ধপাস করে I love you বলে ফেলল। আমার হার্টবির্ট যেন আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। বুকের মধ্যে ধক ধক করে হাতুড়ি পেটাচ্ছে। কি হচ্ছে এসব আমার সাথে? আমি ঠিক শুনছি তো? মেয়েটা আবার বলল, ভালোবাসো না আমাকে?
আমি বললাম, কি বলছো এসব? তোমার না আরেকজন বয়ফ্রেন্ড আছে?
- তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসি। I love you. যদি আমাকে না ভালোবাসো তাহলে চিমটি দিয়ে চামড়া লাল করে ফেলব। আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। এমনিতেই একটু আগে একজনের হাতে চিমটি খেয়ে আসলাম। এখন আবার চিমটি খেতে হবে। তবুও আমি I love you বলব না। আমার যা হয় হোক।
একটু পরেই মেয়েটা আমাকে চিমটি দিতে আরাম্ব করল। একটা না। অনেকগুলা। শরিরের কিছু কিছু জায়গা লাল করে ফেলল। তবুও থামছে না।
একসময় আমি সহ্য করতে না পেরে বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে I love you.
তারপর মেয়েটা বলল, I love you too সোনা। চলনা আজকে একটা রেস্টুরেন্টে যাই। খুব যেতে ইচ্ছা করছে। তারপর আমি বললাম, না না। এখন না। কলেজে যাওয়া লাগবো।
- যাবে না তাহলে?
- এখন না পড়ে।
- আচ্ছা। তাহলে চিমটি খাও।
এই বলে মেয়েটা আমার হাতের মধ্যে আবার চিমটি দিতে শুরু করল। আমি অনেক বুঝালাম, ছুটির পরে তোমাকে নিয়ে যাবো। কিন্তু মেয়েটা আমার কথা শুনলই না। কোনরকম চিমটি খেতে খেতে কলেজে গেলাম। রিকসা থেকে নামার পর মেয়েটা আমার হাত ধরে ধরে ফেলল। আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। তারপর মেয়েটা বলল, আজকে তুমি আমার হাত ধরে ক্যাম্পাসে যাবে।
আমি চোখ বড় বড় করে ভাবলাম, বলে কি মেয়েটা? আমি পারবো না বাবা।
এমন সময় আরেকটা ঘটনা ঘটলো। আমি দেখলাম আমাদের দুজনের দিকে আমার সপ্নের নায়িকা নয়না দ্রুত বেগে ছুটে আসছে। এসেই আমার পাশের মেয়েটার গলায় হাত দিয়ে বলল, এই তুই আমার জামাইয়ের গায়ে হাত দিয়েছিস। তোর সাহস তো কম না?
আমার পাশের মেয়েটা আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বলল, কে তোর জামাই? এটা আমার জামাই।
- আরেকবার ওকে জামাই বললে ঘুষি দিয়ে তোর নাক ফাঁটিয়ে ফেলবো।
- ফাঁটা দেখি কত বড় দম তোর।
একটা সময় নয়না আমার হাতে টান দিয়ে সেই জায়গা থেকে আমাকে সরিয়ে আনল। আমি চুপচাপ নয়নায় পেছনে পেছনে যাচ্ছি। নয়নার হাত ধরা মানে আমার চাঁদের মাটিতে পা রাখার সমান।
নয়না আমাকে টানতে টানতে অনেক দূরে একটা জায়গায় নিয়ে গেল। তারপর আমাকে বলল, I love you.
আমি অবাক হয়ে বললাম, সত্যি তুমি আমাকে ভালোবাস?
নয়না বলল, হ্যা। তোমাকে অনেক ভালোবাসি। চলো আমরা এখনি পালিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
আমি বললাম, না নয়না। এখন বিয়েটা করা ঠিক হবে না। আমাদের দুজনের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করবো আমরা।
নয়না বলল, না। এখনি আমাকে বিয়ে করতে হবে তোমার। তা না হলে তোমাকে চিমটিয়ে মেরে ফেলব।
আমি নয়নাকে বললাম, তোমরা মেয়েরা আজকে কি শুরু করেছ আমার সাথে বলো তো? সকাল থেকে আমার পুরো শরির চিমটিয়ে লাল করে ফেলেছো তোমরা মেয়েরা।
এমন সময় নয়নাও আমাকে চিমটি দিতে লাগল। আমি নয়নার হাতের চিমটি খেতে খেতে বললাম, মেরে ফেলো আমাকে। চিমটি দিতে দিতে আমাকে মেরে ফেলো। নয়না তবুও থামল না।
এমন সময় ঘটল আরেকটা ঘটনা। আমি দেখতে পারলাম আমার দিকে হাজার হাজার কলেজের মেয়ে ছুটে আসছে। তাদের মুখে একটাই কথা, "I love you আবির। আবির শুধু আমার।"
আকাশে বাতাসে একই স্লোগান ভেষে আসছে। সবাই নাকি আমাকে ভালোবাসতে চায়। এতো ভালোবাসা রাখবো কোথায় আমি? নয়নার হাত ধরে বললাম, নয়না। আমাকে তুমি এখান থেকে নিয়ে যাও, এখানে আমি আর থাকতে পারবো না। কিন্তু নয়না আমার কথা শুনল না। সেও বাকি মেয়েদের মতো বলে উঠল, "I love you আবির। আবির শুধু আমার।"।
আমি চিৎকার দিয়ে বললাম,"আমি তোমাদের কারো না। I hate you."
আমার এই কথা শুনে সব মেয়েরা থমকে দাড়াল। তারপর, একটা মেয়ে বলল, "তুমি যদি আমার না হও। তোমাকেও আমরা অন্য কারো হতে দিবো না। মেরে ফেলব তোমাকে।" সেই মেয়েটার কথা শুনে সবাই হ্যা হ্যা করতে লাগল। সবাই একসাথে বলল, "মারো ছেলেটাক, মেরে এক্কেবারে তক্তা বানিয়ে দাও। যাতে আর অন্য কেউ ওকে বিয়ে করতে না পারে।"
কথাটা শুনে তো আমার জান বের হবে হবে অবস্থা। আমাকে নাকি মেরেই ফেলবে।
আমি ভয়ে নয়নাকে বললাম, "নয়না! প্লিজ... আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। ওরা নাকি আমাকে মেরে ফেলবে।" আমি নয়নার চোখের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেলাম। আমি দেখলাম, নয়নার চোখ আগুনের মতো জ্বলছে। নয়না রাগী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আরো ভয় পেলাম তখন যখন দেখলাম, নয়নার ডান হাতে বিশাল বড় একটা লাঠি। আমি বললাম, লাঠি দিয়ে কি করবে? ফেলে দাও ওটা।
এমন সময় অবাক করে দিলে নয়না আমার কোমরের মধ্যে ধপাধাপ লাঠি দিয়ে পেটাতে আরাম্ব করল। আমি চিৎকার দিচ্ছি আর বলছি, নয়না। এমন করছো কেন? আমাকে এভাবে মারছ কেন? উফ! ব্যাথা পাচ্ছি তো। আর মেরো না প্লিজ... নয়না তবুও থামছে না। কোমরের হাড়গুলা আজ হয়তো ভেঙে ছাড়বে। আমি বললাম, এভাবে মারার কারণটা কি আমাকে?
নয়না একসময় বলল, তোকে তো পেটানোই উচিৎ। রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বিড়ালের মতো ঘুমিয়ে পড়েছিস। ঘড়ি দেখেছিস? কয়টা বাজে? কলেজে যাবি না? উঠ।
আমি চমকে উঠলাম। সাথে সাথে আমার ঘুম ভেঙে গেল। তার মানে আমি এতোক্ষন সব সপ্নে দেখলাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৮ টা ২০ বাজে। আম্মা আমার পাশে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারমানে আম্মা এতোক্ষন আমাকে এভাবে পেটাচ্ছিল।
আমি মনে মনে ভাবলাম, যাক বাবা। এতোক্ষন সপ্নে দেখছিলাম। বাস্তবে হলে তো আর রক্ষা পেতাম না। মারাই যেতাম আজকে।
বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে আমি আমার শরিরের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার শরিরে অনেকগুলা চিমটির দাগ। আমি তো সপ্নে দেখছিলাম। তাহলে চিমটির দাগ আসলো কোথা থেকে? আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তারমানে কি সবকিছু সত্যি হয়েছিলো?
আম্মাকে সাথে সাথেই ডাক দিলাম। বললাম, আম্মা! আমার গায়ে এত্তোগুলা চিমটির দাগ আসলো কেমন করে?
আম্মা আমার কাছে এসে বললেন, সারারাত তোমাকে মশায় চিমটি দিয়েছে। রাতে মশারী পেতে ঘুমিয়েছিলি?
আমি তো সাথে সাথেই বোকা হয়ে গেলাম। মশার কামরে আমার গা ব্যাথা করছে। আর আমি সেগুলাকে মেয়েদের চিমটি মনে করেছি। হায়রে সপ্ন!
সকালে মটরসাইকেলে চড়ে কলেজে গেলাম। নয়না আজকেও সবুজ রঙের বোরখা পরে এসেছে। কিন্তু আমার দিকে একটু সময়ের জন্য তাকিয়েও দেখলো না। ভাবলাম, যেভাবেই হোক, নয়নাকে পটানো দরকার।
Comments
Post a Comment