বদনজর এর প্রভাব
ফুটফুটে একটা সুন্দর বাচ্চা। ফর্সা। কী দারুন তার চেহাড়া। দেখলেই কোলে নিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ঝামেলাটা শুরু হলো কিছুদিন পর থেকেই। বাচ্চাটার মুখের মধ্যে লাল রঙের গোটায় ছেয়ে গেল। অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখানো হলো। কিন্তু কোনভাবেই সেগুলো কমার নাম নেই। আরো বেড়েই চলল। মুখের থেকে সাদা চামড়া ওঠা শুরু করল। লাল রঙের ক্ষত থেকে পূজ বের হওয়া শুরু করল। অনেক পরিক্ষা নিরিক্ষা চলল। সবাই ভাবতে লাগলো ছোঁয়াচে রোগ। মা ছাড়া তখন আর কেউ কোলে নেয়ার সাহস পায় না। বাচ্চার শরীর শুকিয়ে যেতে আরাম্ব করল। কিছুদিন আগেও হাঁসিমুখে যেই বাচ্চাটা পুরো ঘড় মাতিয়ে রাখতো, আজকে সেই বাচ্চার মুখে হাঁসি নেই। পুরো ঘড়টা যেন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।
কিছুদিন পর বাচ্চাটা ভালো হয়ে গেলেও মুখে যে ক্ষতগুলো ছিলো, সেগুলো রয়েই গেল। মুখের দাগগুলো এখনো বয়ে বেড়ায় সেই বাচ্চা মেয়েটি। আয়নায় নিজের মুখ দেখলে এখনো মনে পড়ে সেই ভয়ানক ঘটনাগুলো। অভিশাপ হয়ে এসেছিলো সেই দিনগুলো।
বদনজর। মানুষের খারাপ দৃষ্টি। অহংকারের চোখে দৃষ্টি। একটা সুন্দর কিছুকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। উপরের ঘটনাটা ক্ষতিয়ে দেখলে হয়তো পাওয়া যাবে, বাচ্চা মেয়েটার প্রতি অন্য কোন প্রতিবেশীর অহংকারের দৃষ্টি। প্রতিবেশিটা হয়তো হিংসে করতো। নিজের মেয়েটাও তো এমন হতে পারতো। যার কারণে, হিংসায় জ্বলত সে।
এভাবেই আমাদের পৃথিবীতে অনেক ঘটনাই ঘটে। বদনজরের একটা হাদিস আমাদের খুব পরিচিত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, "অশুভ দৃষ্টি মানুষকে কবরে এবং উটকে পাতিলে প্রবেশ করিয়ে ছাড়ে।" (সহিহুল জামে, হাদিস : ৪১৪৪)
Comments
Post a Comment